চলতি নভেম্বরের শুরু থেকেই থেকেই ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলী উৎসবের পর এ তালিকায় ঢুকেছে অপর দুই বড় শহর কলকাতা এবং মুম্বাইও।

জাতিসংঘের বৈশ্বিস স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পরিচালিত সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুসারে, রোববার দীপাবলী উৎসবের পরের দিন সোমবার বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকা ১০ শহরের মধ্যে রয়েছে নয়াদিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নাম।

কোনো শহর বা অঞ্চলের বাতাসের গুণাগুণ বিচার করে পয়েন্ট নির্ধারণ করে একিউআই। এই সূচকে যে শহর বা অঞ্চলের বাতাস সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পায়, সেখানকার বাতাস সবচয়ে বেশি দূষিত। সোমবারের সূচকে দেখা গেছে, এই দিন সকাল থেকেই নয়াদিল্লির বাতাসের মান ৪২০ পয়েন্ট, কলকাতার বাতাসের মান ১৯৬ পয়েন্ট এবং মুম্বাইয়ের ১৬৩।

একিউআই অনুযায়ী বায়ুদূষণে সোমবার বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে নয়াদিল্লি, কলকাতা রয়েছে চতুর্থ স্থানে এবং মুম্বাই অষ্টম স্থানে।

বাতাসের গুণাগুণ পর্যালোচনাকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী, কোনো শহরের বাতাসের মান ৪০০ থেকে ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকার অর্থ হলো ওই শহরের বাতাস ‘বিপজ্জনক’। অর্থাৎ এই বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

আর একিউআই সূচকে কোনো শহরের বাতাসের মান ১৫০ থেকে ২০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকার মানে হলো যাদের হাঁপানি, ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে— তাদের জন্য ওই শহরের বাতাস অস্বস্তিকর এবং বিপজ্জনক।

দীপাবলি উৎসবে বিপুল পরিমাণ বাজি ও পটকা ফোটানো এবং তার ফলে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাতাসে মিশে যাওয়াই এ দূষণের মূল কারণ। রোববার রাত থেকেই নয়াদিল্লির বাতাস ভারী ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল এবং মধ্যরাতের দিকে বাতাসের মান ছিল ৬৮০ পয়েন্ট, যা একিউআই সূচক অনুযায়ী ‘ভয়াবহ’ ক্যাটাগরির অন্তর্গত।

দূষণ রোধ করতে কয়েক বছর আগে রাজধানীতে দীপাবলীর সময় বাজি-পটকা ফোটানো আইন করে নিষিদ্ধ করেছে দিল্লির রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আইন প্রায় কেউই মানে না।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ