ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানোর দাবি করেছে।

এর আগে, উত্তর ইসরায়েলের দোভিভ শহরে হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত সাত ইসরায়েলি আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে।

আইডিএফ বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দোভিভে ৭ জন বেসামরিক আহত হয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি সীমান্তের কাছের দোভিভের উত্তরে কয়েকটি বেসামরিক যানবাহনে আঘাত করেছে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলেছে, উত্তর লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আহত বেসামরিকদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও তিন থেকে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে স্থানীয় চ্যানেল-১২ টেলিভিশনকে জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন মুখপাত্র।

চ্যানেল-১২ বলছে, আহতদের উদ্ধার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎস লক্ষ্য করে লেবাননের দক্ষিণে কামানের গোলা ছুড়েছে বলে জানিয়েছে।

আইডিএফ বলেছে, উত্তর ইসরায়েলের মেনারা এবং ইরন শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় লেবানন থেকে মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলার জবাবে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর এই হামলায় ইসরায়েলে কোনো হতাহত হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানায়নি আইডিএফ।

টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, পৃথক এক ঘটনায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের একটি সামরিক চৌকিতে মর্টারের গোলাবর্ষণ করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি সৈন্যরা লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর অবস্থানে পাল্টা গোলা ছুড়েছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পরদিন থেকেই প্রত্যেক দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অনেকাংশে সীমান্ত এলাকার মাঝে সীমিত রয়েছে। হিজবুল্লাহর চালানো হামলার বেশিরভাগেরই লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের সামরিক চৌকি। যদিও শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, হিজবুল্লাহ সীমান্ত হামলা বন্ধ না করলে গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের পরিণতি ভোগ করতে পারে বৈরুত।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স।

এসএস