লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে কয়েকটি বেসামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে | ছবিঃ টাইমস অব ইসরায়েল

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় দোভিভ শহরে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। রোববার দোভিভে হিজবুল্লাহর এই হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আহত ও কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতির এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে হিজবুল্লাহর ছোড়া ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি সীমান্তের কাছের দোভিভের উত্তরে কয়েকটি বেসামরিক যানবাহনে আঘাত করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের উৎস লক্ষ্য করে লেবাননের দক্ষিণে কামানের গোলা ছুড়েছে সৈন্যরা।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম বলেছে, উত্তর লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আহত বেসামরিকদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও তিন থেকে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে স্থানীয় চ্যানেল-১২ টেলিভিশনকে জানিয়েছেন সংস্থাটির একজন মুখপাত্র।

চ্যানেল-১২ বলছে, আহতদের উদ্ধার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, পৃথকভাবে লেবাননের দক্ষিণে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতির সময় হিজবুল্লাহর একটি আস্তানায় হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর আগে, রোববার রাতে সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলের মেতুলা শহরের বিপরীতে দক্ষিণ লেবাননের একটি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্কোয়াডে ড্রোন হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পরদিন থেকেই প্রত্যেক দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অনেকাংশে সীমান্ত এলাকার মাঝে সীমিত রয়েছে। হিজবুল্লাহর চালানো হামলার বেশিরভাগেরই লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের সামরিক চৌকি। যদিও শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, হিজবুল্লাহ সীমান্ত হামলা বন্ধ না করলে গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের পরিণতি ভোগ করতে পারে বৈরুত।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, হারেৎজ।

এসএস