কিয়েভে বিমান হামলার সময় এক নারী এবং তার ছোট শিশুকে শহরের একটি মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিতে দেখা যায়

দেড় মাসেরও বেশি সময় পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৫২ দিনের মধ্যে কিয়েভ প্রথমবারের মতো রাশিয়ান বিমান হামলার শিকার হয়েছে।

হামলার সময় শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়। শনিবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শনিবার ভোরে হওয়া এই হামলার সময় ‘জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে’। ক্লিটসকো বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গেছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে সক্ষম হয়েছিল।

এদিকে রুশ হামলার সময় বাসিন্দাদের বিমান হামলার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমান হামলার পর প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কাছ থেকে খেরসনের মুক্তির প্রথম বার্ষিকী পালন করার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। শহরের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলার সময় ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট ‘বিশ্বকে তাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার’ জন্য ইউক্রেনীয়দের প্রশংসা করেন।

এদিকে কিয়েভ থেকে প্রায় ২৭৫ মাইল (৪৪২ কিমি) দূরে উপকূলীয় জেলা ওডেসাতে অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। অঞ্চলটির প্রশাসনের প্রধান ওলেগ কিপারের মতে, হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন এবং ৯৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

এর আগে গত বুধবার কৃষ্ণসাগরে বেসামরিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এতে কমপক্ষে একজন নিহত হন। রুশ হামলার শিকার ওই জাহাজটি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এবং সেটি কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ওই জাহাজটিতে অ্যান্টি-রাডার মিসাইল দিয়ে হামলা করা হয়। হামলায় জাহাজটির ৪৩ বছর বয়সী হারবার পাইলট মারা গেছেন।

এছাড়া তিন ফিলিপিনো ক্রু সদস্য এবং একজন বন্দর কর্মীও ওই হামলায় আহত হন।

টিএম