হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসরায়েলে নতুন ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের দাবি করেছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো দেওয়া ভাষণে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ শনিবার বলেছেন, গত কয়েক দিনে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র শাখা ইসরায়েলের ভেতরে নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আগের চেয়ে উন্নতমানের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।

শপথের শত্রু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে বলেও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেওয়া প্রথম ভাষণে হাসান নাসরুল্লাহ বলেছিলেন, লেবাননিজ ফ্রন্টে ইসরায়েলের সাথে চলমান লড়াই ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার তিনি বলেছেন, লেবানন ফ্রন্টে ইসরায়েলের সাথে হিজবুল্লাহর লড়াইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। হামলার সংখ্যা, আকার এবং লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি অস্ত্রের ধরনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরায়েলে হামলায় হিজবুল্লাহ বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ৩০০ থেকে ৫০০ কেজির বিস্ফোরক পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হিজবুল্লাহর প্রধান বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে তিন শিশু ও তাদের দাদিকে হত্যার প্রতিশোধে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনাতে হিজবুল্লাহ হামলা চালিয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর এই ফ্রন্ট ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পরদিন থেকেই প্রত্যেক দিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৭০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা অনেকাংশে সীমান্ত এলাকার মাঝে সীমিত রয়েছে। হিজবুল্লাহর চালানো হামলার বেশিরভাগেরই লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের সামরিক চৌকি।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস