টানা তিন বছর ঐতিহাসিক খরায় পোড়ার পর এবার শতাব্দির ভয়াবহ বন্যায় জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে সোমালিয়া। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে পূর্ব আফ্রিকার ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ অঞ্চলের এই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৯ জন।

গত অক্টোবরের শুরু থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সোমালিয়ায়। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স ফর কো অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওচা) জানিয়েছে, ব্যাপক মৌসুমি বর্ষণ ও বন্যায় ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ এবং এই ঝুঁকিতে রয়েছে আরও প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

খরা ও গৃহযুদ্ধপীড়িত সোমালিয়ায় বহু মানুষ বসবাস করেন শরণার্থী শিবিরে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে অনেক শরণার্থী ক্যাম্পে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ কেনিয়ার বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি মার্টিন গ্রিফিথস জানান, গত এক মাসের বৃষ্টিতে সোমালিয়ায় অন্তত ১৫ লাখ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।  

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এলনিনো আবহাওয়া প্যাটার্নের প্রভাবে এই দুর্যোগ শুরু হয়েছে সোমালিয়ায়। গৃহযুদ্ধ, দারিদ্র্যসহ নানা সংকটে জর্জরিত সোমালিয়ায় যদি দ্রুত কিছু করা না যায়, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় শুরু হবে।’