ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফাসহ তিনটি হাসপাতালকে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে টেলিফোনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডাক্তার আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

আল-শিফা হাসপাতালের ভেতর থেকেই টেলিফোনে কথা বলেন এই চিকিৎসক। তিনি জানান, আল-শিফা, রানতিসি এবং আল-নাসর হাসপাতাল এখন ইসরায়েলিদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় ও আধুনিক হাসপাতাল আল-শিফায় পাঁচবার হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় প্রসূতি ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র জানিয়েছেন, জ্বালানির অভাবে এখন আল-শিফা হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে। যদি জ্বালানি সরবরাহ না করা হয় তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে তারা বাধ্য হবেন। আর এমনটি হলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাস তাদের কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছে। তবে হামাস জানিয়েছে, হাসপাতালের নিচে বা আশপাশে তাদের কোনো অবকাঠামো নেই। সেটি প্রমাণে জাতিসংঘ থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর কথাও বলেছিল তারা।

অপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে যেসব মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন— শুক্রবারের হামলার পর সেখান থেকে প্রায় সবাই সরে গেছেন। এখন শুধুমাত্র কয়েকশ রোগী আর চিকিৎসক-নার্সরা হাসপাতালে অবস্থান করছে। তবে সব মানুষ সরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই