ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ৩৪ দিনের টানা অভিযানে উপত্যকায় ক্ষমতাসীন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের মোট ১৯ জন কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে নিহতদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে আইডিএফ।

বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, এই নিহতদের মধ্যে হামাসের সশস্ত্র বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের এলিট শাখা নাখবার কোম্পানি কমান্ডার আহমেদ মুসা এবং প্লাটুন কমান্ডার আমের আলহানদিও রয়েছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ার জিকিম ঘাঁটিতে অতি সম্প্রতি পরিচালিত এক অভিযানে তারা নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘পশ্চিম জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এই দু’জন।’

এছাড়া নিহত ১৯ কমান্ডারের মধ্যে আল কাসেম ব্রিগেডের স্নাইপার শাখার প্রধান মোহাম্মেদ কাহলুতও রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।  অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে উপত্যকায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীও।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধার। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না।

সূত্র : দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

এসএমডব্লিউ