ভূমধ্যসাগরে অবস্থান নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দুটি রণতরী এবং অন্যান্য যুদ্ধজাহাজে আঘাত হানার মতো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হিজবুল্লাহর কাছে রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে থাকা এসব ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার তৈরি।

গত সপ্তাহে এক টিভি ভাষণে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ জানান, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বাধার পর ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্র তাদের যে দুটি বিমানবাহী রণতরী এনেছে— সেগুলোকে ‘জবাব দেওয়ার মতো জিনিস’ তাদের কাছে আছে।

লেবাননের দুটি সূত্র জানিয়েছে, ‘জবাব দেওয়ার মতো জিনিস’ দিয়ে মূলত নিজেদের কাছে থাকা শক্তিশালী জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বুঝিয়েছেন হাসান নাসরুল্লাহ। যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি ইয়াখোন্ত ক্ষেপণাস্ত্র। যেগুলো ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

অনেকদিন ধরেই ধারণা করা হচ্ছে এবং বিশ্লেষকরা দাবি করে আসছেন, হিজবুল্লাহর কাছে রাশিয়ার ইয়াখোন্ত ক্ষেপণাস্ত্র রযেছে। যেগুলো নির্ভুলভাবে অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তু ছেদ করতে পারে।

বিশ্লেষকদের দাবি, এক দশক আগে হিজবুল্লাহ যখন বাসার আল-আসাদ সরকারকে রক্ষায় সিরিয়ায় গিয়েছিল তখন নিজেদের জন্য লেবাননে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এসেছিল।

তবে হিজবুল্লাহ কখনো তাদের কাছে শক্তিশালী এ ক্ষেপণাস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। এ যুদ্ধে যেন তৃতীয় কোনো শক্তি যুক্ত না হতে পারে সেজন্য ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী এবং অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ নিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই