মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের নিয়ে এসেছে অ্যাম্বুলেন্স

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত চেতনানাশক না থাকায়— অনেক চিকিৎসক বাধ্য হয়ে চেতনানাশক ছাড়াই অস্ত্রোপচার এবং অঙ্গচ্ছেদ করছেন। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশের ক্ষেত্রে সবধরনের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ডব্লিউএইচও আরও জানিয়েছে, ‘গাজায় নিহত ও আহতদের সেবা দেওয়ার সময়’ ১৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।

ডব্লিউওএইচওর কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডারমেয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। কারণ তারাই জীবন বাজি রেখে আহতদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে তারাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সচল রেখেছেন।’

গত ৮ অক্টোবর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে গাজায় সব সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জামও।

চিকিৎসা সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায়— সঙ্গে বিমান হামলায় অনেক মানুষ আহত হওয়ায় গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এরফলে এখন চিকিৎসকদের চেতনানাশক ছাড়া অস্ত্রোপচারের মতো জটিল কাজ করতে হচ্ছে।

অবরোধ আরোপের কয়েকদিন পর গাজায় রাফাহ সীমান্ত দিয়ে কিছু পণ্য আসলেও; এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, জ্বালানির অভাবে যে কোনো সময় হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যদি সত্যিই হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়; তাহলে গাজার ভেতর মানবিক বিপর্যয় দেখা যাবে।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই