গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল, কী বোঝালেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইসরায়েল।’
সোমবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাতকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এরমাধ্যমে নেতানিয়াহু কি বুঝিয়েছেন সে বিষয়টি বোঝা কঠিন— তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার বিষয়টি ‘দখলদারিত্বের’ অংশ হতে পারে। গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করলেও সেখানকার পৌরসভার দায়িত্ব ইসরায়েল নেবে না।
‘নিরাপত্তার দায়িত্ব’ এই বাক্যটি ইসরায়েল ব্যবহার করে দখলকতৃ পশ্চিম তীরের ক্ষেত্রে। যেটি ফিলিস্তিনের আরেকটি অংশ।
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলের প্রথম শান্তি চুক্তি— যা ১৯৯০ সালের অসলো চুক্তি নামে পরিচিত— সেটি অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের পৌরসভার দায়িত্বে থাকবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইসরায়েল।
অন্যভাবে বলা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বের মাধ্যমে গাজায়— ইচ্ছেমত ইসরায়েলিরা প্রবেশ করতে পারবে। এরমাধ্যমে সেখানে আইন ও শাসন প্রতিষ্ঠা করবে তারা। অপরদিকে স্কুল চালানো, ময়লা পরিস্কার করা— যেগুলো পৌরসভার দায়িত্ব— সেগুলো করবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
তবে গাজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হলে— সেখানে এমন একটি ফিলিস্তিনি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেটি ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করবে।
বর্তমানে গাজায় যা হচ্ছে, এরপরও যদি সেখানে কেউ সরকার গঠন করে এবং ইসরায়েলিদের সঙ্গে কাজ করে তাহলে বিষয়টি সেখানকার মানুষ দেশদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচনা করবেন।
বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেমেরি বাউন বলেছেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার মাধ্যমে সম্ভবত ইসরায়েল গাজায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই