অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসের সাথে চার সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। কেবল গাজায় স্থল হামলায় অংশ নেওয়ার পর এই উপত্যকার ভেতরে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ৩২ সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে হামাসের সাথে যুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৬ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

রোববার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, শনিবার গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হামাসের সাথে লড়াইয়ের সময় ইহোনাতান মাইমন (২০) নামের এক সৈন্য মারা গেছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধে নিহত ৩৪৬ জন সৈন্য, কর্মকর্তা ও রিজার্ভ সেনা সদস্যের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের মধ্যে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজায় স্থল হামলার সময় ৩২ জন নিহত সৈন্যও রয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের সাথে লড়াইয়ে পুলিশের কমপক্ষে ৫৮ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।

গত ২৮ অক্টোবর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওইদিন রাতে গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যানসহ ছোট এ উপত্যকায় ঢুকে পড়ে তারা। ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য ছিল— গাজার ভেতর ঢুকে হামাসের সব স্থাপনা দখল; সঙ্গে মাটির নিচে থাকা সুড়ঙ্গ ধ্বংস করবে তারা।

তবে গাজার ভেতরে প্রবেশের পর হামাস যোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়ে তারা। তা সত্ত্বেও গাজার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা গাজা সিটির ভেতর প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর এ কারণে সেখানে এখন তীব্র লড়াই হচ্ছে।

এদিকে, রোববার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৭৭০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৮০০ জনই শিশু। এই উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

এ ছাড়া পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ১৫২ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ২ হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০৫ জন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি ইসরায়েলি।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা।

এসএস