ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মাগাজি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানা গেছে।

গত কয়েকদিনে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েল দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে এবং সর্বশেষ শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটল।রোববার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা রিপোর্ট করেছে। সর্বশেষ এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

এর আগে শনিবার রাতের এই হামলায় দুটি আবাসিক বাড়ি ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছিল।

ওয়াফা আরও বলেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আল-মাগাজি ক্যাম্পের সাম'আন পরিবারের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলায় আরও বহু মানুষ আহতও হয়েছেন।

বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় ওই বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী বাড়ি ও অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গাজা ভূখণ্ডের বুরেজ শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। গাজা সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র সেসময় বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার এই শিবিরে আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু লোক চাপা পড়েন।

এছাড়া বুরেজে বোমা হামলার পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো জাবালিয়া ক্যাম্পেও হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মূলত গত বেশ কয়েকদিন ধরে ইসরায়েল গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। সেগুলোও আবার প্রায়শই এমন সব এলাকায় যা অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কিছু এলাকা বলে পরিচিত।

ইসরায়েল বলেছে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। যদিও ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অবশ্য আগেই বলেছেন, এ ধরনের ‘নির্বিচার হামলা’ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

টিএম