দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তুরস্ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষের ওপর নির্বিচার বিমান হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমরা আর কোনো কথা বলি না। আমরা তাকে বাদ দিয়ে দিয়েছি।’

গত সপ্তাহে ইসরায়েল জানায়, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তারা তুরস্কের সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাববে।

এর এক সপ্তাহ পর এরদোয়ান বললেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর নিরাপত্তার অজুহাতে তুরস্ক থেকে নিজেদের দূততে প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েল।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তুরস্কও ইসরায়েল থেকে নিজেদের দূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরমাধ্যমে মূলত অনানুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে।

গাজায় গণহত্যা চালানো শুরুর পর ইসরায়েল থেকে পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

যুদ্ধ শুরুর পর লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এছাড়া বাহরাইন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই