নিজেদের জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে বৈঠক থাইল্যান্ডের
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় থাকা নাগরিকদের মুক্ত করতে এই গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছে থাইল্যান্ডের সরকারি একটি প্রতিনিধি দল। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন থাই পার্লামেন্টের স্পিকার আরিপেন উতারাসিন।
বৈঠকে হামাস নেতারা ‘সঠিক সময়ে’ থাই জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। কিন্তু সেই ‘সঠিক সময়’ কখন আসবে, সে সম্পর্কিত কোনো ইঙ্গিত তারা দেননি।
বিজ্ঞাপন
গত ২৬ অক্টোবর ইরানের রাজধানী তেহরানে দুই ঘণ্টা ব্যাপী এই বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে আরিপেন বলেন, ‘আমরা হামাস নেতাদের অনুরোধ করে বলেছি যে এই থাই নাগরিকরা নিরপরাধ এবং হামাস কবে তাদের মুক্তি দেবে।’
‘জবাবে হামাস প্রতিনিধিরা বলেছে, সঠিক সময় এলেই তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ তারা উল্লেখ করেনি। তবে বলেছে, অন্যান্য জিম্মিদের মতো আমাদের নাগরিকদেরও তারা যত্নে রেখেছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তপথ ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ওই দিন শেষ রাত থেকে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ার পর বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙ্গে ইসরায়েলে প্রবেশ করে কয়েক শ’ হামাস যোদ্ধা এবং শত শত ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হত্যার পাশপাশি ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ১৩৮ জনই থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। টাইমস অব ইসরায়েলকে আরিপেন জানিয়েছেন, অন্তত ২২ জন থাই নাগরিক জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন হামাসের হাতে।
গত চার সপ্তাহের যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বোমা বর্ষণে নিহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এই নিহত প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক এবং উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নারী ও শিশু।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
এসএমডব্লিউ