ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনা
বৈরুতের বিমানবন্দর ও আশপাশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ
ইসরায়েলের সাথে সীমান্তে উত্তেজনা তুমুল বৃদ্ধি পাওয়ায় লেবাননের কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রধান বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশের সব স্থাপনা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেই লক্ষ্যে শনিবার বৈরুত কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করেছে।
রাজধানীর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত বৈরুত রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে এই মুহূর্তে সংঘাত আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে কি না সেবিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের দিকে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চেষ্টা করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। পরে লেবাননের ভূখণ্ডে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালের দিকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি একটি ড্রোনে আঘাত হানে। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী ওই ক্ষেপণাস্ত্র যে স্থান থেকে ছোড়া হয়েছিল, সেই এলাকায় গোলাবর্ষণ করে।
তিন সপ্তাহ আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেকদিনই সীমান্তে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাথে লেবানননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ইসরায়েল-লেবাননের ২০০৬ সালের রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর এবারই প্রতিবেশী এ দুই দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের সাথে যুদ্ধে হিজবুল্লাহ জড়িয়ে পড়লে তা আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ইরানও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজা উপত্যকায় নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলা ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হলে এই যুদ্ধ অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা।
এসএস