হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া (ফাইল ছবি)

টানা তিন সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। অবিরাম এই হামলায় ইতোমধ্যেই ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধানতাকামী সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

তিনি বলেছেন, গাজার এই যুদ্ধ ‘পুরো অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাবে’। হামাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আল-আকসা টিভিতে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গাজায় টানা ২০ দিনের লড়াইয়ের পরও প্রতিরোধ ‘খুব ভালো’ অবস্থায় আছে। হানিয়া নিশ্চিত করেন, হামাসসহ ফিলিস্তিনের সকল প্রতিরোধ গোষ্ঠীই হচ্ছে ‘জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের’ অংশ।

তিনি বলেন, ‘গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের এই ধারাবাহিকতা সমগ্র অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে, আজ এই অঞ্চলটি একটি গরম টিনের ছাদে পরিণত হয়েছে এবং কেউ এটির দিকনির্দেশ বা ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে পারবে না।’

হামাসের রাজনৈতিক শাখার এই প্রধান গাজার সমস্ত ক্রসিং বিশেষ করে রাফাহ ক্রসিং খোলার দাবি করেন। মূলত ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে গাজার প্রয়োজনীয় সকল কিছু ‘কোনও ধরনের সীমাবদ্ধতা বা শর্ত ছাড়াই’ যেন প্রবেশ করতে পারে সেই অনুমতি দেওয়ার দাবিও করেন তিনি।

এছাড়া গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং শিশু, নারী, বৃদ্ধ, মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ঘরবাড়িতে হামলার এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সকল ফোরামে ও সমস্ত দিক থেকে প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্বের সকল মুক্ত মানুষ এবং সকল বন্ধুত্বপূর্ণ, ভ্রাতৃপ্রতিম ও মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান হানিয়া।

একইসঙ্গে হামাসসহ ফিলিস্তিনে মুক্তি আন্দোলনে জড়িত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বৈধতা জোরালো ও স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করার জন্য সকল প্রেসিডেন্ট, নেতা এবং ব্লগার, সাংবাদিকসহ মানুষের মতামত প্রণয়নে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেন এমন সকলের প্রতিও আহ্বান জানান ইসমাইল হানিয়া।

টিএম