গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর একটি বাড়ি থেকে ধোয়া বের হতে দেখা যায়

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ ও গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আরব বিশ্বের নয় দেশ।

সৌদি আরব, মিসর, আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন, ওমান, কাতার, কুয়েত এবং মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথভাবে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, হামাসের হামলার জন্য গাজার বাসিন্দাদের ‘সামষ্টিক শাস্তি’ দিচ্ছে ইসরায়েল। গাজার বাসিন্দাদের উপর নির্বিচার হামলা চালানোয় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশগুলো।

বিবৃতিতে আরব বিশ্বের নয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আত্মরক্ষা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকে সমর্থন করে না। আত্মরক্ষার নামে ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের অধিকার উপেক্ষা করার বিষয়টিও সমর্থনযোগ্য নয়।’ এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার নিন্দাও জানিয়েছেন তারা।

যেসব দেশ ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে কুয়েত, ওমান ও সৌদি আরব ছাড়া সবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর আগে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল ইসরায়েল। তবে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে হামাস হামলা চালানোর পর পাল্টে যায় সব হিসাব-নিকাশ। সৌদি আরব ঘোষণা দেয় তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কার্যক্রম স্থগিত রাখবে।

সৌদি আরব যদি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করত তাহলে ইসরায়েল মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যেত। কিন্তু আপাতত ইসরায়েল এমন কিছু পাবে না।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই