গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জানিয়েছে, বুধবার রাতে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে‘ অভিযান চালিয়েছে তারা। আর এই অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে ট্যাংক।

গাজায় পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে গাজা সীমান্তে তিন লাখেরও বেশি সেনা ও কয়েকশ ট্যাংক জড়ো করেছে তারা। তবে বড় স্থল অভিযান চালানোর আগে ট্যাংক নিয়ে গাজার ভেতর ঢুকে ছোট ছোট অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে তারা।

বুধবার রাতে গাজায় অভিযান চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিবৃতিতে বলেছে, ‘গতরাতে, গাজা উপত্যকার উত্তর দিকে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ ট্যাংক ব্যবহার করে অভিযান চালিয়েছে আইডিএফ। এটি যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতির অংশ। নিজেদের কার্যক্রম শেষ করে সেনারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে আসেন।’

এর আগে গত ২২ অক্টোবর গাজার খান ইউনিসে এ ধরনের অভিযান চালাতে ট্যাংক নিয়ে প্রবেশ করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার মুখে পড়েছিল তারা।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলিদের দুটি সামরিক বুলডোজার ও একটি ট্যাংক লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এরপর সেখান থেকে সামরিক যান রেখে পালিয়ে যায় ইসরায়েলি সৈন্যরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর ২২ অক্টোবর প্রথমবারের মতো দুই পক্ষের মধ্যে গাজার ভেতরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হামাস ইসরায়েলের ট্যাংক ও বুলডোজার ধ্বংস করার দাবি করলেও ইসরায়েল দাবি করেছিল, তাদের সেনাদের লক্ষ্য করে কেবল গুলি ছোড়া হয়েছিল।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই