গাজা সীমান্তের কাছে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে অনুরোধ করেছে, তারা যেন গাজায় আরও কয়েকদিন পর স্থল হামলা চালায়। এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসবে। যেগুলো ইরাক, সিরিয়া, কুয়েত, জর্ডান, সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের রক্ষায় ব্যবহার করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, ইসরায়েল যদি এখন গাজায় হামলা চালায় তাহলে ওই অঞ্চলের যেসব দেশে তাদের সেনারা রয়েছে তারা হামলার সম্মুখীন হতে পারে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নিচ্ছে ইসরায়েল। এছাড়া কূটনৈতিক পন্থায় হামাসের হাতে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। সবকিছু বিবেচনা করে ইসরায়েল আরও কয়েকদিন পর গাজায় স্থল অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের এই হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়।

হামাসের ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন বিকেল থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশপাশি গাজায় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতিও শুরু করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজা সীমান্তের কাছে ৩ লাখের বেশি সেনা জড়ো করেছে তারা। তবে যুদ্ধ শুরুর পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো গাজায় ঢোকেনি ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭৫৬ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে শিশুই মারা গেছে পৌনে তিন হাজার। মুহুর্মুহু বোমা হামলায় গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ওষুধ ও জ্বালানির অভাবে হাসাপাতালগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই