কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলরহমান জানিয়েছেন যে কোনো সময় ইসরায়েলি বন্দিদের ছাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় খবর আসতে পারে

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলিদের ছাড়িয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। তাদের মধ্যস্থ্যতায় ইতিমধ্যে চার ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি পেয়েছে।

এ ক্ষেত্রে অবদান রাখায় কাতারের প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক তাঝাহি হানেগবি। তিনি কাতারের কূটনৈতিক তৎপরতার প্রশংসা করে বুধবার (২৫ অক্টোবর) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে বলেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি কাতার মানবিক সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হচ্ছে। এ মুহূর্তে কাতারের কূটনৈতিক তৎপরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যার করার কারণে— গতকাল কাতারের আমির ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেন। এর একদিন পরই হঠাৎ করে ইসরায়েল কাতারের প্রশংসা করেছে।  

তবে জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক হানেগবি কাতারের প্রশংসা করায় এর কড়া সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তিনি দাবি করেছেন, কাতার হলো ইসরায়েলের শত্রু। আর তাদের প্রশংসা করে ইসরায়েলি সরকার চরম ভুল করছে।

এ ব্যাপারে এক্সে নাফতালি বেনেট লিখেছেন, ‘ইসরায়েলি সরকার চরম বাস্তবিক এবং নৈতিক ভুল করছে। কাতার মানবিক ও কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার নয়। কাতার হলো শত্রু।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কাতার হামাস-আইএসআইএসকে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা এবং শক্তিশালী করেছে। ইসরায়েলের লক্ষ্য হলো হামাসকে ধ্বংস করা। কাতারের লক্ষ্য ঠিক তার উল্টো; হামাসকে রক্ষা করা।’

হামাসকে চুপ করিয়ে রাখতে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর কাছে কাতারের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু নাফতালি বেনেট প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

এদিকে বুধবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি বলেছেন, যদি তারা ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিকে ছাড়িয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি ব্রেকথ্রু দেখতে পাবেন।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, সিএনএন

এমটিআই