গাজা সীমান্তের কাছে জড়ো হয়েছে ইসরায়েলের কয়েকশ ট্যাংক

গাজা সীমান্তে জড়ো করা ইসরায়েলের একটি ট্যাংকে হামলা চালানোর দাবি করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল শনিবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাস দাবি করেছে, গাজা সীমান্তের খান ইউনিস শহর থেকে ইসরায়েলের ট্যাংককে লক্ষ্য করে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা।

তবে ট্যাংকের উপর হামাসের হামলার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দেয়নি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

এর আগে শনিবার সকালে লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এরপর জানা যায় গাজা সীমান্ত থেকেও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।

এছাড়া ‘হামাসকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন’ করে দিতে ও তাদের সরকার পরিচালনার সক্ষমতা ধ্বংস করতে গাজার ভেতর স্থল অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেয় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লাখেরও বেশি সেনা ও কয়েকশ ট্যাংক জড়ো করেছে তারা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গাজায় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন তারা রাজনৈতিক পর্যায় থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে। এরপরই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভেতর ঢুকে পড়বে তারা।

তবে সামরিক বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী চাইলেই ইচ্ছেমতো গাজায় অভিযান চালাতে পারবে না। কারণ সেখানে রয়েছে হামাসের অসংখ্য গোপন সুড়ঙ্গ। হামাসকে নির্মূল করতে হলে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যেকটি সুড়ঙ্গে প্রবেশ করতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল জাজিরা

এমটিআই