ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর পর আবারও আলোচনায় এসেছে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান।’  

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান কী?

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান খুবই সহজ একটি বিষয়। এটির মাধ্যমে মূলত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের সৃষ্টি হবে। যে দুটি দেশের মানুষ একে-অপরের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেটি সমাধানের জন্য— দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকেই সবচেয়ে উত্তম মনে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিন-ইসরায়েল আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং অনেক দেশ এতে সমর্থন জানায়।

দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের দ্বন্দ্ব হয়

তবে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে— সেটি এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়টি থমকে গেছে কারণ দুই পক্ষই বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি বা পারছে না।

দুই পক্ষই জেরুজালেম শহরকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। এছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সীমান্ত কোথায় হবে সেটিরও কোনো সমাধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার অন্যতম বড় বাধা হলো— ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড জোরপূর্বক দখল করে ইসরায়েল অবৈধ বসতি স্থাপন করেই যাচ্ছে।

আরেকটি বিষয় যেটির কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি সেটি হলো— বিশ্বব্যাপী আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৬০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ব্যাপারে কি করা হবে।

১৯৬৭ সালের গ্রিন লাইন

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র সমাধান হলে ১৯৬৭ সালের সীমানা রেখা চুক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। যা গ্রিন লাইন নামে পরিচিত। এই সীমানা রেখা অনুযায়ী সীমান্ত নির্ধারণে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করতে হবে এবং একে-অপরকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। এছাড়া জেরুজালেমকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই