ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে গাজায় কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেদিকেও নজর রাখার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত মঙ্গলবার গাজার ওই হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রায় ৫০০ জন নিহত হন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় একটি হাসপাতালে হামলার ঘটনায় বুধবার তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ভয়াবহ ওই হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের নিহত হওয়ার বিবরণ স্পষ্ট করার জন্য জাতিসংঘ তদন্তে জড়িত হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, সংঘাতের এখনও ‘শুরুর দিনগুলো’ চলছে এবং ‘তদন্তের মাধ্যমে কী করা হয় তা জাতিসংঘকে দেখতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই বিষয়ে কিছু তদন্ত হওয়াটা অপরিহার্য।’

ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নেয়ার ইস্ট বা ইউএনডব্লিউআরএ গাজায় ২০১৪ সালের মতো তদন্ত করতে চায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন: ‘আমি এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই না। তবে ভবিষ্যতে কী হবে সে বিষয়ে আমি কোনও অনুমান করতে যাচ্ছি না।’

মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘এখন যেটা স্পষ্ট সেটা হচ্ছে- হাসপাতালে হামলার ঘটনায় কিছু তদন্ত হওয়া দরকার এবং আমরা দেখব সেখানে কি ব্যবস্থা আছে এবং কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এর আগে ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে জানানো হয় হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭১ জন।

আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের ওপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ইসরায়েল অবশ্য বিমান হামলার দায় অস্বীকার করেছে।

এছাড়া ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন গাজা বর্তমানে এক ভয়ানক মানবিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ভূখণ্ডটিতে পানি, খাদ্য, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ‘ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ’ কমাতে ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছেন।

টিএম