অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-আহলিল হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচশ’রও বেশি ফিলিস্তিনি। এ হামলার খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাও করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া অনেকে দূতাবাসের ভেতর ঢুকে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে অনেকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বিক্ষুব্ধ সেসব মানুষকে সরিয়ে দিতে সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা একটি নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করতে সমর্থ হন এবং তারা দূতাবাসের দিতে এগোতে থাকেন। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

এদিকে গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে আইডিএফ দাবি করেছে, গাজার আরেক সশস্ত্র বাহিনী ইসলামিক জিহাদের একটি ব্যর্থ রকেট আঘাত হানার পর ওই হাসপাতালে এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

তারা আরও দাবি করেছে, হাসপাতালটিতে যখন বিস্ফোরণ হয় তখন সেদিকে অসংখ্য রকেট ছুড়ছিল ইসলামিক জিহাদ। ইসরায়েলের এমন দাবির পর এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

জর্ডান ছাড়াও তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। যদিও তুরস্কের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছেন। 

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই