গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত এক ব্যক্তির শোকে কাঁদছেন তার আত্মীয় -রয়টার্স

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বর্বর বোমা হামলা থেকে বাঁচতে নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়েছেন গাজার অসংখ্য মানুষ। যেখানে সেখানে ও যখন-তখন বোমা হামলার কারণে নিজেদের ‘জীবন বাঁচাতে’ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। এরমধ্যে অন্যতম একটি ছিল আল-আহলিল হাসপাতাল।

তবে যে হাসপাতালকে সাধারণ মানুষ নিরাপদ ভেবেছিলেন; সেটিকেও ছাড়েনি ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আল-আহলিল হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তারা। আর এই এক হামলায় মুহূর্তেই ঝরে গেছে পাঁচশ’রও বেশি মানুষের প্রাণ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ৫০০ মানুষের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে এই হামলাকে ‘গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। কারণ হাসপাতালটিতে অসুস্থ রোগী ও আশ্রিত মানুষ ছাড়া আর কেউ ছিল না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধি নাবেল ফারসাখ বলেছেন, এই হাসপাতালটিতে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা গাজার উত্তরাঞ্চলের মানুষ। ইসরায়েলের নির্দেশনা অনুযায়ী, জীবন বাঁচাতে নিহত এসব মানুষ দক্ষিণ দিকে যাওয়ার জন্য ঘর-বাড়ি ছেড়েছিলেন। কিন্তু অর্থাভাব, পরিবহণের অভাব ও নানান কারণে তারা দক্ষিণ দিকে আর সরতে পারেননি। এর বদলে হাসপাতালের পাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। তাদের বিশ্বাস ছিল— এই হাসপাতাল অন্তত তাদের জন্য নিরাপদ। এখানে কোনো হামলা চালানো হবে না।

ইসরায়েলের ভয়াবহ ও এ হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

অপরদিকে গাজ-ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দেশ মিসর হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এটি বেসামরিক মানুষের উপর ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃত হামলা। যা আন্তর্জাতিক আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামলার পর পর হাসপাতালে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন হাসপাতালের ভেতর থেকে বের করা হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই