ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর শক্তিশালী হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের এ আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর— এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় যে কোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করবে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

সম্ভাব্য এই স্থল হামলার আগে অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলের মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া কথিত দুটি মানবিক করিডোর তৈরি করেছে তারা। ইসরায়েল দাবি করছে মানবিক করিডোরের মাধ্যমে— হামলা শুরুর আগে বেসামরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে তারা।

ইসরায়েলের এ ‘সরে যাওয়ার’ নির্দেশের পক্ষে সাফাই গাইতে এবং স্থল হামলার সম্মতি পেতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনিও ইসরায়েলিদের সুরে বলছেন, নিরীহ বেসামরিকদের সরে যাওয়ার জন্যই এই মানবিক করিডোর তৈরি করা হয়েছে।

তবে মানবিক করিডোর দিয়ে গাজার সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে দৌড়ঝাঁপ করছেন সেটি সন্দেহজনক।

ফিলিস্তিন বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা আল-সাবাকার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইয়ারা হাওয়ারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, কথিত এ মানবিক কনিডোরের মাধ্যমে মূলত গাজাবাসীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার চেষ্টা করছেন ব্লিঙ্কেন।

তিনি বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য জায়গার রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন একটি মানবিক করিডোর তৈরির ক্ষেত্রে জোর দেবেন… যুক্তরাষ্ট্র এটি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার জন্য একটি নিরাপদ পথ হিসেবে অভিহিত করছে। কিন্তু ভয় হলো— এটি কোনো মানবিক করিডোর নয়। এরবদলে এটি গাজাবাসীর জন্য স্থায়ীভাবে তাদের ভূমি ছাড়ার একটি পথ।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যুদ্ধ শেষে শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসার যে আন্তর্জাতিক আইন আছে সেটির প্রতি ইসরায়েল সরকার কোনো সম্মান প্রদর্শন করে না। তাই যখন ইসরায়েলিদের বোমা হামলা শেষ হবে তখন ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসতে পারবে না।’

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই