ইসরায়েলের আল্টিমেটামের পর উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে দিকে সরে যাচ্ছেন গাজার অনেক বাসিন্দা

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় তাদের যেসব আশ্রয়কেন্দ্র আছে সেগুলো আর নিরাপদ নয়। সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গাজায় নিরাপদ সুপেয় পানিও দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুদ্ধের নিয়ম আছে: বেসামরিক মানুষ, হাসপাতাল, স্কুল, ক্লিনিক এবং জাতিসংঘের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো যাবে না।’

সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘ জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়াসহ সকল বেসামরিক মানুষকে রক্ষায়— যুদ্ধের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য আমরা চেষ্টার কোনো কমতি রাখছি না।’

গত শনিবার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর প্রতিশোধ নিতে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।

এর পরের দিন গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে সেখানে বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি এবং খাদ্যসহ সবকিছুর সরবরাহ বন্ধ দিয়েছে ইসরায়েল।

আর তাদের এই অবরোধের কারণে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দা এখন বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়েছেন। গাজায় ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন সেখানে যে কোনো সময় পানিও ফুরিয়ে যাবে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে জীবন বাঁচাতে এখন মানুষ জাতিসংঘের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। এরমধ্যে জাতিসংঘের গাজাভিত্তিক শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ জানিয়েছে, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও আর নিরাপদ নয়।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই