হিজবুল্লাহ উপপ্রধান নাঈম কাসিম

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চলমান যুদ্ধে ‘সঠিক সময়ে’ যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এ বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা বা হুমকিকে আমলে নেবে না এই গোষ্ঠী।

ইরানের মদদপুষ্ট লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাসিম জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম এই শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী বর্তমানে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষায়। সেই সময় এলেই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হামাসের পক্ষে যোগ দেবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা।

শনিবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়ে নাঈম কাসিম বলেন, ‘আমরা সাংগঠিনক ভাবে এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে (হামাসকে) সহযোগিতা করা শুরু করেছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, জাতিসংঘসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে হিজবুল্লাহকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে সতর্কবার্তা দিয়েছে, তবে এএফপিকে নাঈম কাসিম জানিয়েছেন— হিজবুল্লাহ এসব সতর্কবার্তাকে আমলে নিচ্ছে না।

‘কারা কি বলল, তাতে হিজবুল্লাহর কিছু যায়-আসে না। আমরা আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত।’

‘আমরা (যুদ্ধের জন্য) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সঠিক সময় এলেই আমরা কাজ শুরু করব।’

গত ৭ সেপ্টেম্বর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিল হিজবুল্লাহ। সেই সমর্থনের প্রতীক হিসেবে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছিল এই শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী অবশ্য সেই ড্রোন ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত অতিক্রম করার আগেই ভূপাতিত করেছিল।

গত ৭ আগস্ট সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাংশের সীমান্ত বেড়া ভেঙে চুরে সেখানে প্রবেশ করে কয়েক শ সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা। তার আগে ভোররাত থেকে বিভিন্ন ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ছুড়েছিল ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠী।

অতর্কিত এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজা ভূখণ্ডে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। হামাস ও আইডিএফের পাল্টাপাল্টি হামলায় গত ৭ দিনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে।

এসএমডব্লিউ