ইসরায়েলের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে ছুটে যান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে তাদের পাঠানো অস্ত্র ‘ইচ্ছেমতো ও যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহারের’ অনুমতি দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেছেন অস্টিন। তিনি বলেছেন, মার্কিনিদের পাঠানো অস্ত্র ব্যবহারে তারা ইসরায়েলকে কোনো শর্ত দেননি।

এ ব্যাপারে অস্টিন বলেছেন, ‘শর্তের ক্ষেত্রে— আমরা ইসরায়েলে যেসব সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছি সেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে শর্ত আরোপ করতাম, কিন্তু আমরা এসব অস্ত্রের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত দেইনি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি (ইসরায়েলি বাহিনী) একটি পেশাদার সেনাবাহিনী। যেটি পরিচালিত হয় পেশাদার নেতৃবিন্দের মাধ্যমে, এবং আমরা আশা করি এবং প্রত্যাশা করি— তারা এক্ষেত্রে যেটি সঠিক সেটি করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

এদিকে এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, তারা অবরুদ্ধ গাজার উপর যে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে— সেটি তুলে নেওয়া হবে না— যতক্ষণ হামাস তাদের কাছে থাকা বন্দিদের ছেড়ে না দিচ্ছে।

সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করার কারণে গাজায় এখন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর এই জ্বালানির অভাবে এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গাজা। আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা রেডক্রস সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি গাজায় জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় তাহলে গাজার হাসাপাতালগুলোর সেবা ভেঙে পড়বে এবং সেখানকার সব হাসপাতাল মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে পরবে। কারণ বিদ্যুতের অভাবে চিকিৎসা প্রত্যাশীরা চিকিৎসা পাবেন না এবং বিনা চিকিৎসায় তারা মারা যাবেন।

এছাড়া ইসরায়েলর চির বৈরি দেশ লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস— ইসরায়েলে উপর হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি  নিচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিতও তারা পাননি বলে জানিয়েছেন অস্টিন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা সীমান্তে বড় ধরনের কোনো সৈন্য সমাবেশ দেখিনি। এটি এমন বিষয় যেটির উপর ইসরায়েলিরা নজর রাখছে। এছাড়া আমরা সেসব বিষয়ের উপরও নজর রাখছি যেগুলো এই সংঘাত ছড়িয়ে দিতে পারে এবং আমাদের আশা এ ধরনের কিছু দেখব না।’

এদিকে গত শনিবার ইসরায়েলে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এছাড়া এখন গাজায় বড় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই