গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। হামাসের সাথে যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েলে প্রত্যেক দিন রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। এমনকি সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। গত দুদিনে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলার আঘাতে হিজবুল্লাহর তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। যুদ্ধে হিজবুল্লাহর জড়িয়ে পড়ার এই প্রচেষ্টা ইসরায়েলের জন্য নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হামাসের সাথে যুদ্ধ মোকাবিলায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী তিন লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে তলব করেছে। বৃহস্পতিবার এই সৈন্যদের গাজা সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সামরিক সাঁজোয়া যান, যুদ্ধ সরঞ্জামসহ জড়ো করা হয়েছে। গাজায় স্থল অভিযান চালাতে নিয়মিত সৈন্যদের পাশাপাশি রিজার্ভ সৈন্যদের এই মুহূর্তে যুদ্ধের ময়দানে মোতায়েন শুরু করেছে ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার রিজার্ভ সৈন্যদের একাংশকে লেবানন সীমান্তের দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা হচ্ছে। লেবাননের সাথে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তকে শক্তিশালী করতে রিজার্ভ সৈন্যদের একটি বড় অংশ সেখানে পাঠানো হয়েছে।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হুমকি হয়ে দাঁড়ানোয় ইসরায়েল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী সামরিক ও রাজনৈতিক উপস্থিতি রয়েছে। দেশটিতে কার্যকর সরকার বা প্রেসিডেন্ট ছাড়াও যথেষ্ট ক্ষমতা চর্চা করে থাকে এই গোষ্ঠী।

গত কয়েকদিন ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননে থাকা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী অন্যান্য গোষ্ঠীও এই হামলার সাথে জড়িত। এ সবই বিপজ্জনক।

বিবিসি বলছে, যদি চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং এই যুদ্ধে একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়, তাহলে তা ইসরায়েলের জন্য লেবাননের সাথে আরেকটি পূর্ণমাত্রার সংঘাতের সূচনা করবে। আর এর প্রভাব ওই অঞ্চলের চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে।

এসএস