হামাসের হামলায় নিহত সেনার আয়োজনে অনুষ্ঠানে কাঁদছেন এক নারী সেনা।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ন্যাটোভুক্ত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। আর তাদের এই বৈঠকে ভিডিও কলের মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী ও ব্যক্তিরা ইসরায়েলি মন্ত্রীর ওই কথিত ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘ভয়ানক’ ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছেন। গার্ডিয়ান দাবি করেছে, ওই ভিডিওতে হামাসের দ্বারা বেসামরিক ইসরায়েলিদের হত্যার বিষয়টি দেখানো হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গ্যালান্ট এক ঘণ্টা স্থায়ী ওই বৈঠকে যোগ দেন এবং হামাসের হামলা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন এবং তাদের একটি ‘সেন্সরবিহীন’ ভিডিও দেখান।

একজন পশ্চিমা কূটনৈতিক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটি খুবই ভয়ানক ছিল। সত্যিকার অর্থে সেখানে কি ঘটেছিল সে বিষয়টি এ ভিডিওতে ফুটে উঠেছে।’

অপর একটি সূত্র বলেছে ওই ভিডিওর চিত্রগুলো ভয়াবহ ছিল।

তবে ইসরায়েলি মন্ত্রীর এ ভিডিওটি আসল নাকি কাটছাঁট করে বানানো হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল অনেক ভিডিও কাটছাঁট করে প্রকাশ করছে। এমনকি তাদের প্রকাশিত একটি ভিডিওতেই ধরা পড়েছে, উপরে হাত তুলে আত্মসমর্পণ করা সত্ত্বেও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর সেসব মরদেহের উপর রাইফেল রেখে তাদের সন্ত্রাসী বলে প্রচার করেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রচার করেছিল হামাসের যোদ্ধারা একটি শহরের ৪০ শিশুকে হত্যা করেছে এবং তাদের কয়েকজনের শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু এ তথ্যের কোনো সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে হামাস শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী যে নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে এবং এতে যে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা

এমটিআই