ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অবস্থান নেওয়ার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছাতে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থা নুরনিউজের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ দুই প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন। এ সময় ইব্রাহিম রাইসি সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘ইসলামী ও আরব দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সকল স্বাধীন জনগণকে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ থামতে একটি অবস্থানে পৌঁছাতে হবে।’

এর আগে, বুধবার সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে টেলিফোনে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সাথে সৌদি আরব দীর্ঘদিনের বৈরীতার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে রাজি হওয়ার পর প্রথমবার টেলিফোনে কথা বলেন তারা।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে আলোচনা করেন। সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, ‘বর্তমান উত্তেজনা নিরসন করতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সঙ্গে সৌদি আরব সব রকমের যোগাযোগ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স।’

এছাড়া সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি সৌদি আরব যে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটিও সৌদি যুবরাজ পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে এসপিএ জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং সিরিয়া দীর্ঘদিনের দুই মিত্র। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় ব্যবসায়িক চুক্তিও করেছে উভয় দেশ।

এসএস