গাজার উদ্বাস্তুদের জন্য ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার চাইল জাতিসংঘ
যুদ্ধ কবলিত গাজা ভূখণ্ডের উদ্বাস্তু বেসামরিক লোকজনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার চেয়েছে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনি রেফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)।
বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘পশ্চিম তীর ও গাজায় আমাদের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আগে থেকেই প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত কয়েক দিনে এই শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আরও আড়াই লাখেরও বেশি শরণার্থী।’
বিজ্ঞাপন
‘নতুন যোগ হওয়া এই শরণার্থীদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সুরক্ষার জন্য এই অর্থ চাইছি আমরা।’
দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার ভোর রাত থেকে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।
কাছাকাছি সময়ে মোটরচালিত প্যারা গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন হামাসের আরও কয়েক শ’ যোদ্ধা।
গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে হামাসের হামলার পর প্রথম দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল ইসরায়েল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে আল আকসা অঞ্চলে। ইসরায়েলের সরকার ইতোমধ্যে হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, গত চার দিনে গাজা ভূখণ্ডের অন্তত ২০০ টি ‘লক্ষ্যবস্তু’ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। রকেট ও বিস্ফোরক ছোড়ার জন্য এসব লক্ষ্যবস্তু ব্যবহার করত হামাস।
২০২২ সালের জনশুমারির হিসেব অনুযায়ী, ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রস্থা গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ৭৫ হাজার। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, গত চার দিনের যুদ্ধে গাজা ভূখণ্ডে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন মানুষ এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩১৯ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজন রয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা
এসএমডব্লিউ