গাজার সীমান্ত বেড়ার কাছে একটি ট্যাংক থেকে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে আটক করেন হামাসের সদস্যরা

অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে শনিবার আকস্মিকভাবে ও কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বড় সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।

আর এ অভিযানে অসংখ্য ইসরায়েলিকে হত্যা করা ছাড়াও বেশ কয়েকজন সেনা ও বেসামরিক মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে তারা। বর্তমানে সেসব বন্দিদের গাজার বিভিন্ন টানেলে আটকে রাখা হয়েছে।  

আর হামাসের হাতে আটক এসব বন্দিকে ছাড়িয়ে নিতে মুসলিম দেশ মিসরের সহায়তা চেয়েছে ইসরায়েল।

মিসরের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বরাতে রোববার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল অনুরোধ জানিয়েছে বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে মিসর যেন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে।

গতকাল শনিবার ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের বিশেষ অভিযান শুরু করে হামাস। এদিন ভোরে সীমান্ত বেড়ে ভেঙে হামাসের প্রায় এক হাজার সেনা ইসরায়েলে প্রবেশ করেন।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে হামাস ও মিসরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব বন্দিকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে— তাদের সংখ্যাটা ঠিক কত— সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। কারণ টানেলে থাকা হামাসের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

তবে ইসরায়েল স্বীকার করেছে, হামাসের হাতে তাদের অনেক নাগরিক বন্দি হয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭৫০ জন ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতিস্থাপনকারী নিখোঁজ আছেন।

এদিকে হামাস ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার এ যুদ্ধ একদিন পেরিয়ে দুদিনে পা দিয়েছে। কিন্তু তবুও এখনো হামাসকে পুরোপুরি দমন করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববারও বিভিন্ন জায়গায় সম্মুখ যুদ্ধ চলছিল।

সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

এমটিআই