ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলায় কেঁপে উঠেছে পুরো ইসরায়েল। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আকস্মিকভাবে গাজা উপত্যকার সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়েন হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা।

হামাসের এই হামলার পরই নিজের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই টুইটে হামাসের হামলার নিন্দা এবং এমন কঠিন মুহূর্তে ইসরায়েলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে বিষ্মিত হয়েছি। নিরীহ নিহত মানুষ ও তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এমন কঠিন মুহূর্তে আমরা ইসরায়েলের পক্ষে আছি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের মার্ক রুট্টে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হামাসের এ ‘অভিযানকে’ সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারাও এমন দুঃসময়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবারের এ হামলার জন্য ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকেই দায়ী করছে। তবে এর পেছনের যে কাহিনী রয়েছে— সেটি কোনো পশ্চিমা নেতাই উল্লেখ করছেন না বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির কূটনৈতিক এডিটর জেমস বায়ে।

গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিল। আর এসব অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অপরদিক অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হামাসের উপর চাপ বাড়ছিল। আর এসব চাপের মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে শনিবার ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই