হামাসের রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গাড়ি

ইসরায়েলিদের তৈরি অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে শনিবার (৭ অক্টোবর) আকস্মিক ও অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

এদিন হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা ইসরায়েলের দখলকৃত স্থানগুলোতে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়েই তারা ইসরায়েলি সেনাদের উপর হামলা চালান। এছাড়া অসংখ্য অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদেরও আটক করেন তারা। যাদের অনেককে ধরে গাজা উপত্যকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

হঠাৎ করে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৯৮ ফিলিস্তিনি ও প্রায় ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালের পর— অর্থাৎ গত ৭৫ বছরে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি দখলদার ইসরায়েল।

বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর সম্পাদক জেরেমি বাওয়েন বলেছেন, ১৫ বছর আগে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিন্তু এই ১৫ বছরে তারা কখনো এ ধরনের কোনো কিছু করেনি। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয় হয়। কিন্তু সেগুলো মূলত পশ্চিম তীরে হয়ে থাকে। এই পশ্চিম তীর জেরুজালেম থেকে শুরু করে জর্ডান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।

শনিবার সকালে যেভাবে হামাসের শত শত যোদ্ধা ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন তা ইসরায়েলিরা কখনো কল্পনাও করেনি। এছাড়া চেকপোস্টে থাকা ইসরায়েলি সেনাদের যেভাবে হামাসের সদস্যরা ধরে নিয়ে এসেছেন সেটি অনেকের কাছে বিষ্ময় মনে হয়েছে।

হামাসের এমন হামলার পর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গাজার এ সশস্ত্র গোষ্ঠীর এতটা সংঘটিত হওয়া এবং হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে আগে থেকে কোনো তথ্যই জানতে পারেনি ইসরায়েল। অথচ গোয়েন্দা তথ্যের দিক দিয়ে ইসরায়েলকে বিশ্বের সেরা হিসেবে ধরা হয়।  

হামাসের এ হামলার পর অবশ্য গভীর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন গাজার বাসিন্দারাও। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন, প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল আরও শক্তিশালী বিমান হামলা চালাবে। ইসরায়েলিদের নির্বিচার বিমান হামলায় ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে হামাস হামলার জন্য এমন দিনকে বেছে নিয়েছে যেদিন ইসরায়েলের ইহুদিদের একটি ধর্মীয় দিন উদযাপন করার কথা ছিল। কিন্তু এমন অতর্কিত হামলায় তাদের সেসব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই