হামাসের হামলার পর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন ইসরায়েলের পুলিশ সদস্যরা

সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলের যা যা প্রয়োজন তার সবই দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি প্রতিরোধী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে হামলা চালানোর পর এমন ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে অস্টিন বলেছেন, ‘নিজেদের আত্মরক্ষায়, নির্বিচার হামলা ও সন্ত্রাসবাদ থেকে নাগরিকদের রক্ষায় ইসরায়েলের যা প্রয়োজন সেগুলো নিশ্চিত করতে আগামী দিনগুলোতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’

এদিকে হামাসের এ আকস্মিক হামলার পর ভারতসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের মার্ক রুট্টে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হামাসের এ অভিযানকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এছাড়া এমন দুঃসময়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

অপরদিকে হামাসকে সমর্থন জানিয়েছে ইরান। তবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ সৌদি আরব সরাসরি হামাসের পক্ষে কোনো কথা বলেনি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং অব্যাহতভাবে তাদের ওপর অত্যাচার চালানোর জন্য এমন কিছু যে ঘটতে পারে সে ব্যাপারে আগেই সতর্কতা দিয়েছিল তারা।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা এই আকস্মিক হামলায় যোগ দিয়েছেন এবং তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন।

রামাল্লাহ শহর থেকে আল জাজিরা সাংবাদিক ও ব্যুরো প্রধান ওয়ালিদ আল-ওমরি জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সালের পর এবারই প্রথম এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে ইসরায়েল।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই