রাশিয়ার এক হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে গ্রামের ২০ শতাংশ মানুষ
ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্কের হরোজা গ্রামে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। রুশ বাহিনীর ছোড়া এ ক্ষেপণাস্ত্রে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের প্রায় সবাই গ্রামবাসী এবং তারা যুদ্ধে নিহত এক সেনার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে একটি ক্যাফেতে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানেই এই হামলা চালানো হয়।
খারকিভের আঞ্চলিক প্রধান ওলেহ সায়নেহুবোভ হামলাটিকে এই অঞ্চলের ‘নৃশংস অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, যারা নিহত হয়েছেন তারা ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং রাশিয়ার এ হামলায় একসঙ্গে গ্রামের ২০ শতাংশ মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গ্রামের এক-পঞ্চমাংশ মানুষ একটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।’
ছোট্ট এ গ্রামটিতে ২০২০ সালে মাত্র ৫০০ মানুষের বসবাস ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর গ্রামটি দখল করে নিয়েছিল রাশিয়ার সেনারা। এরপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে এটি পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেখানো কোনো সামরিক অবকাঠামো ছিল না।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লায়মেঙ্কো বলেছেন, গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ির মানুষ এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ সব বাড়ি থেকেই কেউ না কেউ সেই ইউক্রেনীয় সেনার শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর এ ভয়াবহ হামলায় ওই সেনার বিধবা স্ত্রী, ছেলে, মা এবং শাশুড়িও নিহত হয়েছেন।
নিহত ওই সেনাকে এর আগে দানিপ্রোতে সমাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু তার আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তাকে নিজ গ্রামে পুনরায় সমাহিত করতে চেয়েছিলেন তারা। আর সেই উপলক্ষ্যেই এই আয়োজন করা হয়েছিল।
এমটিআই