ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে, তাকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের আধিপত্য বিস্তারের ভঙ্গুর ও ব্যর্থ প্রয়াসের ফলাফল বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া প্রকৃতপক্ষে এই যুদ্ধ শেষ করার জেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী শহর সোচিতে এক আলোচনা সভায় পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষার কারণে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বরাবর নিজেকে বিশ্বের মোড়ল মনে করে।’

‘আর পশ্চিমা অন্যান্য দেশগুলোও আসলে বাস্তবাত থেকে বিচ্ছিন্ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর নৈতিক অধিকার রয়েছে কি না— এ প্রশ্ন কখনও তাদের মনে জাগে না।’

‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা প্রচার করছে যে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে। তাদের এই অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। আমরা ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করিনি, বরং তা শেষ করার চেষ্টা করছি।’

প্রসঙ্গত, লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তি শর্ত পূরণে ইউক্রেনের অনীহা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবিরের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন দেন।

যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গত দেড় বছরেরও বেশি সময় উভয়পক্ষে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন; ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের মূল পরিকল্পনা হলো ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার নামে রাশিয়াকে টুকরো টুকরো করে তার প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ দখল করা।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ