ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের একটি মন্দিরে পোশাকবিহীন বসে ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়া এক পর্যটকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। বালি কর্তৃপক্ষ এখন ওই পর্যটককে ধরতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অন্যান্যদের সহযোগিতা চেয়েছে।

এই ঘটনার একটি ভিডিও বালির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কয়েকটি পেইজে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। ভিডিওতে মন্দিরের সামনে এক তরুণকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে পোশাক ছিল না।

বালি দ্বীপের বাসিন্দা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর নি লুহ ডিজেলান্টিক ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক। আমাদের মন্দিরে ধ্যান করছেন? বালির বাসিন্দা ও তাদের বিশ্বাসকে অপমান করে আপনি কীভাবে এটি করতে পারেন? অভিবাসন কর্মকর্তারা দয়া করে এই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করুন। যথেষ্ট হয়েছে! এটি আমাদের বালিনিজদের জন্য অপমানজনক।’

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিদেশি ওই পর্যটকের নাগরিকত্ব শনাক্ত করেছে। তবে তার নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বালির অপর একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমাদের দ্বীপে এই ধরনের পর্যটকের প্রয়োজন নেই।’ ‘ওই পর্যটককে তাড়িয়ে দেওয়া হোক; যার কোনও শিষ্টাচার ও সৌজন্যতাবোধ নেই। বালিতে তাদের দরকার নেই!’ লিখেছেন অপর এক বালিনিজ।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বালির অভিবাসন কার্যালয়ের পরিচালক টেডি রিয়ান্ডি বলেছেন, ‘আমরা এখনও এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, অভিবাসন বিভাগ বর্তমানে ওই বিদেশির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনও ধরনের সাড়া পাওয়া যায়নি।

বালি দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকদের এ ধরনের অশালীন আচরণের ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপে। পরে অশ্লীল আচরণের দায়ে অনেক পর্যটককে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, এমনকি দেশটিতে আজীবনের জন্য তাদের নিষিদ্ধ করা হয়।

চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ার একজন ইনস্টাগ্রাম সেলিব্রিটি বালি দ্বীপের বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত একটি গাছের সামনে পোশাকবিহীন শরীরে ছবি তোলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করার পর তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে বালি থেকে নির্বাসিত করা হয় রুশ ওই পর্যটককে।

সূত্র: এএফপি।

এসএস