অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে একইসঙ্গে দু’টি মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এই দু’টি রিপোর্টের একটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইএমএ’র এবং অপরটি যুক্তরাজ্যের মেডিকেল উপদেষ্টা সংস্থা এমএইচআরএ’র। ব্রিটিশ এই সংস্থার রিপোর্টে দেশটিতে ৩০ বছরের কমবয়স্কদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরিবর্তে অন্য কোনো টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে, এই টিকার ঝুঁকির চাইতে সুফল অনেক বেশি, এটি অত্যন্ত কার্যকর এবং এটি মানুষের জীবন রক্ষা করছে। তবে ইএমএ বলছে, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাটিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার একটি ‘অতি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা উচিত।

ইএমএ বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং তার মধ্যে ৮৬ জনের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। এসব ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট কার্যকারণগত সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৬০ বছরের কমবয়স্ক নারীদের মধ্যে এটি ঘটতে দেখা গেছে- তবে কিছু ক্ষেত্রে পুরুষদের মধ্যেও এটা হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে এমএইচআরএ বলছে, এখন পর্যন্ত দুই কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে ৭৯ জনের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে এবং এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন।

কিন্তু সংস্থাটির মতে, এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অতি বিরল এবং টিকার কার্যকারিতা এখন প্রমাণিত। তবে এ কারণে এখন ব্রিটেনে ৩০ বছরের কমবয়স্কদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরিবর্তে অন্য কোনো টিকা দেওয়া হবে। তবে যারা ইতোমধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়।

ইএমএ’র রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপের ২৭টি সদস্য দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা এক বৈঠকে বসেছেন এবং বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইউরোপে করেনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচির ওপর এ রিপোর্টের কিছু প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

টিএম