ইউক্রেনে গিয়ে কিয়েভের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রন্ত্রীরা। ইইউয়ের কূটনীতিক জোসেপ বোরেল কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে একটাই বার্তা দিতে চেয়েছেন। সেটা হলো, ইইউ পুরোপুরি ইউক্রেনের পাশে আছে।

পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বোরেল লিখেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ঐতিহাসিক বৈঠক ডেকেছি। ইউক্রেন ইইউয়ের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তারা ভবিষ্যতের সদস্য। আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’

সহযোগিতার বার্তা

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, আসন্ন শীত মৌসুমে রাশিয়ার বোমার হাত থেকে বাঁচার জন্য ইউক্রেনের প্রোটেকটিভ শিল্ড দরকার। অর্থাৎ তিনি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে চেয়েছেন।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া যেন মনে রাখে আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন ও সাহায্য করে যাবো।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ১৮ মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এখনও এই বিরোধ মেটার কোনও ইঙ্গিত নেই। ইউক্রেনও এখন পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় গেছে। এই পরিস্থিতিতে ইইউ স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাবে।

ইইউয়ের দেশগুলো মিলে ১৩০ বিলিয়ন ইউরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। জার্মানি একাই ২০ বিলিয়ন ইউরো দেওয়ার কথা বলেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ৬০ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে।

প্রশ্নও উঠছে

রোববার স্লোভাকিয়ার নির্বাচনে রুশপন্থি রবার্ট ফিকোর নেতৃত্বে জোট জিতেছে। তিনি ইউক্রেনকে কোনোরকম সামরিক সাহায্য দেওয়ার বিরোধী। ফলে হাঙ্গেরির মতো স্লোভাকিয়াও  ইউক্রেন-বিরোধী অবস্থান নিতে পারে।

এমনকি ইউক্রেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ পোল্যান্ডও জানিয়েছিল, তারা আর ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে না। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র দেবেন না।

পোল্যান্ডেও নির্বাচন আসছে। ক্ষমতাসীন দল জেতার জন্য কৃষকদের ভোটের ওপর নির্ভর করছে। আর ইউক্রেন থেকে শস্য আসার ফলে পোল্যান্ডের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রও এখন সাময়িকভাবে অর্থসাহায্য বন্ধ রেখেছে। কারণ, আমেরিকায় বাজেট আলোচনা চলছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, তার আশা যুক্তরাষ্ট্র আগের মতোই সমর্থন করবে।

তবে কিয়েভে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে ইউক্রেনের প্রতি ইইউয়ের নীতিতে খুব বেশি যে পরিবর্তন হবে এমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।

টিএম