বিশ্বে বেশ কিছু ‘ভয়ঙ্কর’ জায়গার তালিকা প্রকাশ করেছে গুগল ম্যাপ। সেখানে জনসাধারণের জানার অধিকার নেই। আপনি হয়তো জানেন না, আপনার বাড়ির আশপাশেই রয়েছে এমন জায়গা। বিশ্বে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যার গল্প শুনলে হাড়হিম হয়ে যাবে। সেখানে এমন কিছু কাজকর্ম হয়, যা জনসাধারণের জানার অধিকার নেই।

এক. 
আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ায় রয়েছে র‌্যাভেন রক মাউন্টেন কমপ্লেক্স। তাকেই ‘ভয়ঙ্কর’ জায়গা বলে চিহ্নিত করে গুগল ম্যাপ। এই পাহাড়ের নীচেই রয়েছে বাঙ্কার, যা পরমাণু যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তৈরি করা হয়েছে। শত্রুপক্ষ পরমাণু হামলা চালালেও এই বাঙ্কারে থাকলে কারও কোনও ক্ষতি হবে না। জন সাধারণের এই বাঙ্কারে প্রবেশের অধিকার নেই। এখানে আমেরিকার সেনাবাহিনী, নৌসেনা, বিমানসেনার জরুরি কাজ পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্র রয়েছে।

দুই.
গুগল ম্যাপের চোখে আরও এক ভয়ঙ্কর জায়গা হল ব্রাজিলের ইলহা দে কোয়েমাদা গ্র্যান্ড। যা পরিচিত ‘সাপের দ্বীপ’ (স্নেক আইল্যান্ড) নামে।
এই দ্বীপে বাস হাজার হাজার বিষধর সাপের। সেই তালিকায় রয়েছে গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপার। হালকা হলুদ-বাদামি রঙের জন্য এই নাম। এর থেকে বিষধর সাপ গোটা লাতিন আমেরিকায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এ সব বিষধর সাপের কারণে এই দ্বীপে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

তিন.
আমেরিকার বোহেমিয়া গ্রোভ হল আর এক ‘ভয়ঙ্কর’ জায়গা। ক্যালিফোর্নিয়ায় রয়েছে এই জায়গা। সান ফ্রান্সিসকোর এক ক্লাব এই জমির মালিক। এখানে প্রতি বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় এক বার করে গোপন শিবির করেন প্রভাবশালী রাজনীতিক, সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্টরা। কী হয় সেই শিবিরে, তা বাকি দুনিয়ার কাছে অজানা থাকে। কথিত, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাও যোগ দিয়েছিলেন এই শিবিরে। তবে এখানে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই। উপস্থিত থাকেন শুধুই পুরুষেরা।

চার.
ভ্যাটিকান সিটিতে রয়েছে এক গ্রন্থাগার, নাম ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভস। এই গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রাচীন কিছু বই যেগুলো একমাত্র পোপ পড়তে পারেন। কেন এই বইগুলি নিয়ে এত গোপনীয়তা? মনে করা হয়, এ সব বইয়ে নাকি এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যা ‘শয়তানতত্ত্ববিদ্যা’ সম্পর্কিত।

পাঁচ.
উত্তর সাগরের মধ্যে রয়েছে এক দ্বীপ। সেখানে রয়েছে বিশাল এক খিলান। নাম স্ভারবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট। যদিও এই ভল্টে সকলের প্রবেশের অধিকার নেই। বলা হয়, এই খিলানে প্রায় ২৫ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। পৃথিবীতে যে দিন চরম খাদ্যাভাব তৈরি হবে, সে দিন নাকি কাজে আসবে এই শস্য।

এমএসএ