ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি; আর এই জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন কর্মসংস্থানও বাড়ছে এই খাতে।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক শ্রমিক ও কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সির (ইরিনা) যৌথ উদ্যোগে করা এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

‘রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড জবস : অ্যানুয়েল রিভিউ ২০২৩’ নামের প্রতিবেদনেটি প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে মোট  চাকরি ও কর্মসংস্থান ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার, যা আগের বছর ২০২১ সালের চেয়ে ১০ লাখ বেশি। ২০১২ সালে এই খাতে চাকরি-কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল ৭০ লাখ ৩০ হাজার মাত্র।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২২— এক বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হিসেবে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে চীনে। যে ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, শতাংশ হিসেবে সেসবের ৪১ শতাংশই হয়েছে চীনে।

এছাড়া ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে এই খাতের কর্মসংস্থান।

পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির কয়েকটি উৎস বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এগুলো হলো— সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, উইন্ডমিল এবং বায়োগ্যাস প্ল্যাট। এসব উৎসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সৌরবিদ্যুৎ। ২০২১ থেকে ২০২২ সাল— এক বছরে বিশ্বজুড়ে এই খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৪০ লাখ ৯০ হাজার।

একই সময়সীমায় জলবিদ্যুৎ খাতে ২০ লাখ ৫০ হাজার, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট খাতে ২০ লাখ ৫০ হাজার উইন্ডমিল খাতে ১০ লাখ ৪০ হাজার এবং অন্যান্য উৎস সম্পর্কিত খাতে ৮ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

ইরিনার মহাপরিচালক ফ্রান্সেস্কো লা ক্যামেরা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশ ও এই খাতের কর্মসংস্থানের জন্য ২০২২ সাল ছিল দারুণ একটা বছর। আমরা আশা করছি সামনের অনাগত বছরগুলোতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান— উভয়ই বহুগুণে বাড়বে।’

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ