অস্থিতিশীলতা তৈরির উদ্দেশ্যে ইরানের রাজধানী তেহরানজুড়ে একযোগে ৩০টি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রোববার দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজধানীর ব্যস্ততম ও জনাকীর্ণ সিটি সেন্টারগুলোতে একযোগে ৩০টি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল সন্ত্রাসীরা।  তবে বিস্ফোরণের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে রাজধানী তেহরান, আলবোরজ ও পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশ থেকে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে ভেঙে দেওয়া, অস্থিতিশীল ভাবমূর্তি তৈরি, সমাজে হতাশা ও ভয়ের বীজ বপন এবং গত বছরের দাঙ্গার বার্ষিকীর দিনে বিশৃঙ্খলা ও বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার লক্ষ্যে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝের দিকে হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে এই তরুণীর মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে বিক্ষোভ-বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।

দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের সবাই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের তাকফিরিদের সহযোগিতা করার ইতিহাস রয়েছে।

উদ্ধারকৃত বিশাল পরিমাণর বিস্ফোরক, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ১৭টি পিস্তল, গোলাবারুদ, যোগাযোগের সরঞ্জাম, সামরিক পোশাক, সুইসাইড ভেস্ট এবং বিদেশি মুদ্রাও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের ওই মন্ত্রণালয়।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে সন্দেহভাজনদের অবস্থানে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পর কীভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় তা দেখানো হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স।

এসএস