মোহাম্মদ বাওদাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ২২ বছর বয়সী হাবীবা আজদির

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে গত শুক্রবার আঘাত হানা ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ধসে পড়া বাড়ি-ঘরের নিচে চাপা পড়ে।

তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের খুব কাছে থাকা আদাসিল অঞ্চলের ইগহিল এনটাগোমোত গ্রামে— ভূমিকম্পে কোনো মানুষের মৃত্যু হয়নি। যদিও ওই গ্রামের প্রায় সব বাড়ি-ঘর ভূমিকম্পে পুরো ধসে পড়েছে।

ভূমিকম্পের সময় ওই গ্রামবাসীরা একটি বিয়ে পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানে কনে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে উন্মুক্তস্থানে স্থানীয় সংগীত ও অন্যান্য আয়োজন উপভোগ করছিলেন তারা। আর তখনই শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে পুরো গ্রাম।

বিয়ে বাড়িতে সে সময় অনেকেই মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। সেসব মোবাইল ফোনে ভূমিকম্পের বিষয়টি ওঠে আসে। ওই সময় সেখানকার আমন্ত্রিত অতিথিদের ভয়ে-আতঙ্কে চিৎকার ও চেঁচামেচি করতে শোনা যায়।

অনুষ্ঠানে আগত এক অতিথি ভূমিকম্প আঘাত হানার আগ থেকেই ভিডিও করছিলেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায় সংগীত শিল্পীরা দেশটির ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বাঁশি ও ছাগলের চামড়ার তৈরি ড্রাম বাজাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেখানে হৈ-হুল্লোড় ও মানুষের আর্তনাদ শুরু হয়।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার পরের দিন অর্থাৎ শনিবার ৩০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাওদাদের সঙ্গে ২২ বছর বয়সী হাবীবা আজদিরের বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। আর সেখানকার রীতি অনুযায়ী, বিয়ের আগের দিন কনের বাড়িতে বিবাহ পূর্ববর্তী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেই  বিয়ের আয়োজনই সৌভাগ্যক্রমে তাদের ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা করেছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই