কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেলেন নোবেলজয়ী মারিয়া রেসা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসাকে কর ফাঁকির মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। একই মামলায় শান্তিতে এই নোবেলজয়ীর নিউজ সাইট র্যাপলারকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।
রেসার মামলা থেকে খালাস পাওয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিপর্যস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আরেকটি আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা এবং তার নিউজ সাইট র্যাপলারকে কর জালিয়াতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন আদালত। রেসা হলেন র্যাপলারের প্রধান এবং ২০২১ সালে একজন রাশিয়ান সাংবাদিকের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে এবং মাদকের বিরুদ্ধে তার মারাত্মক যুদ্ধের বিষয়ে ব্যাপক তদন্তের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিল র্যাপলার। মূলত মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর নামে দুতের্তে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাতেন মারিয়া রেসা ছিলেন তার ঘোর বিরোধী।
মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর রেসা সাংবাদিকদের বলেন, তার বেকসুর খালাস ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে একটি ‘ভালো সংকেত’ পাঠাবে। এছাড়া আদালতের রায়ে ‘স্বস্তি’ বোধ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রেসা বলেন, ‘খালাস পাওয়াটা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়াবে। রাজনৈতিক হয়রানি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ সত্ত্বেও আদালতে নিজেদের হাজির করার বিষয়ে আমাদের যে সংকল্প রয়েছে সেটি আরও শক্তিশালী হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রায় এটিই দেখায় যে, আদালত ব্যবস্থা কাজ করে। আমরা আশা করি বাকি অভিযোগগুলোও খারিজ হয়ে যাবে।’
অবশ্য নয় মাস আগে একই ধরনের ট্যাক্স চার্জ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এই মামলায় রেসার খালাস প্রত্যাশিতই ছিল। যদিও মারিয়া রেসা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার বেশ বড় মেয়াদের কারাদণ্ড হতে পারতো। রায় ঘোষণার পর রেসা বলেন, ‘আজ সত্যের জয় হয়েছে, ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মারিয়া রেসা ও তার প্রতিষ্ঠান র্যাপলারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনে ফিলিপাইন সরকার। এতে বলা হয়, রেসা এবং তার প্রতিষ্ঠান র্যাপলার ২০১৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগের রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির মামলা হয় এবং সেই মামলায় জামিনে ছিলেন রেসা।
তবে রেসার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে এবং ২০২০ সালে একটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্তও হয়েছিলেন। যদিও ওই মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছিলেন এই নোবেলজয়ী।
টিএম