জি-২০ সম্মেলনে অতিথিদের পাতে ছিল যেসব খাবার
ভারতে বসেছিল এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই আয়োজনের সব কিছুতেই ছিল ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের ছোঁয়া। এমনকি অতিথিদের খাবার পদেও ছিল সেই ছোঁয়া। তাছাড়া খারিফ শস্যের স্বাদ ও উপকারিতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে শনিবারের (৯ সেপ্টেম্বর) নৈশভোজে ছিল ‘মিলেট থালি’। সেসবের যেমন সুন্দর নাম, তেমনই খেতে সুস্বাদু, আবার পুষ্টিগুণও অনেক।
জো বাইডেন থেকে শেখ হাসিনা, সুনাক থেকে ট্রুডো– খেয়ে সবাই প্রশংসা করলেন। ভারতের খাবারের স্বাদ অপূর্ব, এমনটিই বললেন তারা। কিন্তু এই ‘মিলেট থালি’ ঠিক কী? দামই বা কেমন?
বিজ্ঞাপন
মিলেট অর্থ বাজরা। খারিফ শস্য হিসেবে জোয়ার, বাজরার কথা তো অনেকেরই জানা। ভারতের কৃষি সম্পর্কে এ নামগুলোর সঙ্গে সবাই কম-বেশি পরিচিত। পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ উত্তর পশ্চিম ভারতের ফলন ও খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই নির্ভরশীল এই জোয়ার, বাজরার ওপর। বাজরার রুটি কিংবা ডাল ঘরে ঘরে খাওয়া হয়।
শনিবারের নৈশভোজে একাধিক বাজরার পদ ছিল। কোনোটা সোরগুম, কোনোটা পার্ল মিলেট আবার কোনোটা ফক্সটেল মিলেট দিয়ে তৈরি। ‘পত্রম’ নামের পদটি আসলে ফক্সটেল মিলেটের পাতা ভাজা, তা দই ও আচারসহ পরিবেশন করা হয় অতিথিদের। এছাড়া ‘বণবর্ণম’ পদটি মিলেট দিয়ে তৈরি। উত্তর ভারতীয় বাজরার সঙ্গে দক্ষিণ ভারতীয় কারিপাতার মেলবন্ধনে তৈরি একটি খাবার। মিষ্টান্ন পদ ‘মধুরিমা’ আসলে মিলেটের পুডিং। মেন্যু কার্ড দেখলেই তা স্পষ্ট।
২০২৩ সালকে ‘মিলেট বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করছে ভারত সরকার। তাই খাবার-দাবারেও তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মিলেট বা জোয়ার-বাজরা দানাশস্য হওয়ায় তার পুষ্টিগুণ অসীম। প্রোটিন, ফাইবার তো আছেই, এছাড়া নানা রকমের খনিজ পদার্থও রয়েছে এসব খারিফ শস্যে। রয়েছে ভিটামিনও। হৃদরোগের সমস্যা, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় এসব খাবার খুবই কার্যকর।
বর্তমানে ভারতের বাজারে বাজরার একেকটি রুটির দাম একশ টাকার বেশি। উপমার দাম দেড়শ টাকা।
/এসএসএইচ/