বাংলাদেশে ভ্রমণে আসার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোরীয় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য কোরিয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গুতে ওই পর্যটকের মৃত্যুর পর নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোরীয় ওই নাগরিক প্রায়ই ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ ও আফ্রিকা ভ্রমণ করতেন। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কোরীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (কেডিসিএ) বলেছে, গত ২২ আগস্ট তার শরীরে ডেঙ্গুর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এর দু’দিন পর মারা যান তিনি।

শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দেশটির নাগরিকদের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণের বেশি।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সবাই দেশের বাইরে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত দেশটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কারও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। 

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছরে এই ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে সর্বমোট ৬১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরমধ্যে কেবল ঢাকায় ৪৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, উচ্চ তাপমাত্রা ও উচ্চ আর্দ্রতার সাথে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপক বেড়েছে। সারাদেশে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র: দ্য কোরিয়ান টাইমস।

এসএস